বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে যেসব সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়া যায় !

 

মাদের দেশের যে পরিস্থিতি তাতে বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করার পরই ভালো চাকরির প্রত্যাশা করেন। সাথে সাথে অভিভাবকরাও প্রত্যাশা করে যে তার সন্তান একটা ভালো বেতনের চাকরি করবে। আসলে ভালো বেতনের চাকরি বাংলাদেশে হয়তো প্রাসঙ্গিক, তবে আপনি যে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়বেন তার একমাত্র কারণ যেন শুধুমাত্র ভালো বেতনের আশা করা না হয়। যদি এমনি ভেবে থাকেন তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর আপনাকে পস্তাতে হতে পারে। কম্পিউটার সায়েন্স বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া খুবই চিত্তাকর্ষক ও আনন্দময়। আর ভালোমতো লেখাপড়া করলে আপনাকে চাকরি খুঁজতে হবে না, চাকরিই বরং আপনাকে খুঁজবে। যা হোক, চলুন দেখে নেয়া যাক কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ে আপনি কী পেতে পারেন।

বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির, তাই নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরা বা যেকোনো নতুন সুযোগকে কাজে লাগাতে তথ্যপ্রযুক্তির ছেলেমেয়েরাই এগিয়ে থাকে। নিজেকে তুলে ধরতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারেও তারা অনেক বেশি পারদর্শী হয়। যেকোনো ক্ষেত্রে আপনি আপনার কম্পিউটিং দক্ষতা ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি কম্পিউটার বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত থাকেন তবে এই সেক্টরের পাশাপাশি আরও ভিন্ন কিছু সেক্টরে নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। যেমন,  ব্যাংক, করপোরেট হাউজ, মিডিয়াসহ সব জায়গাই আজ কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক চাহিদা। কম্পিউটার সায়েন্সের ক্যারিয়ার আরও অন্য ভাবেও হতে পারে যেমন আপনি  কম্পিউটার সায়েন্স পড়েন তবে প্রোগ্রামিং শিখুন বা নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর শিখুন এই দুটি আপনার জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে যখন আপনি প্রেক্টিক্যালি শিখতে যাবেন। আবার যাদের আঁকাআঁকির সেন্স ভালো বা পছন্দ করেন তারা গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে খুবই ভালো করতে পারেন। আমাদের দেশে বর্তমানে এমন অনেক ট্রেনিং ইন্সিটিউট আছে যারা আপনাকে প্রফেশনালি গ্রাফিক ডিজাইনের ওপরে প্রশিক্ষন প্রদান করবে । যেমন, BJIT Academy.

সুতরাং আপনি যদি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তবে আপনার সামনে এমন অনেক পথ পাবেন যেখান থেকে খুব সহজে নিজের পছন্দ মতো একটি পথ বেছে নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আমাদের দেশের বেকার সমস্যা প্রকট। যথাযথ ডিগ্রি ও যোগ্যতা থাকার পরও অনেকেই চাকরি পান না। অনেকেরি চাকরির জন্য অনেক দিন এমনকি বছরের পর বছরও পথে পথে ঘুরতে হয়। সত্যিকার অর্থে সবার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা বর্তমান বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এই যখন বাস্তবতা তখন আপনার সামনে আরও একটি পথ খোলা আছে। আপনি একজন কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েট হিসেবে খুব সহজেই অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসে নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। এজন্য আপনার দরকার হবে একটি নিদিষ্ট কাজের দক্ষতা। আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন আপনার বন্ধুদের মদ্ধে এমন অনেকেই আছেন যারা ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসে কাজ করছে এবং সেখান থেকে মোটামুটি ভালো টাকা আয় করছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি এটি বেশ ভালো একটি পেশা। এবং এখান থেকে মোটামুটি ভালো আয় করতে পারবেন।

 

অনেকে আবার নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও গড়ে তুলতে পারেন। যুগ যেহেতু এখন তথ্যপ্রযুক্তির, তাই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক ধরনের নতুন নতুন বিজনেস শুরু করা যেতে পারে। যেমন ধরুন, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পরপরই কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে একটা সফটওয়্যার ফার্ম গড়ে তুলতে পারেন। চাকরির সুযোগ যদি আমরা বর্তমান ক্যারিয়ার মার্কেট ও এর ট্রেন্ড বিবেচনায় নেই, তবে দেখব অন্তত আগামী আরো ১৫-২০ বছর কম্পিউটার ক্যারিয়ারের রমরমা অবস্থা বিরাজ করবে। এটা যতটা আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য প্রযোজ্য ঠিক তেমনি বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ কম্পিউটার সায়েন্সই মনে হয় একমাত্র সাবজেক্ট, যেটাতে পড়ে আপনি গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেই সরাসরি গুগল বা ফেসবুকের মতো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতে পারেন। ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশী ছাত্র এসব নামকরা প্রতিষ্ঠানে নিজেরদের আসন করে নিয়েছেন।

এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কোম্পানি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ও সফটওয়্যার কনটেস্ট আয়োজন করে। প্রোগ্রামিং কনটেস্টে মূলত অলিম্পিয়াড স্টাইলে অ্যালগরিদমের সাহায্যে প্রবলেম সলভ করতে হয়। এখানে সুযোগ আছে সারা বিশ্বের বড় বড় প্রোগ্রামারের সাথে কনটেস্ট করার। বাংলাদেশের মানুষের গর্ব করার মতো জিনিস খুব বেশি নেই, তবে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অবশ্যই সেই অল্প জিনিসের একটা, অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশীরা এসব কনটেস্টে ভালো ফল করছে। সফটওয়্যার কনটেস্টে মূলত বিভিন্ন সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হয়, মোবাইল বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক মোবাইলের সফটওয়্যার কনটেস্ট বর্তমানে খুব জনপ্রিয়। মাইক্রোসফট ইমেজিন কাপের মতো বড় বড় আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার কনটেস্টেও বাংলাদেশীরা অংশ নেয়।

 

এছাড়া আপনি যদি কোন বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য আছে সুসংবাদ! বাংলাদেশেও অনেক ভাল ভাল আন্তর্জাতিক আইটি কোম্পানি আছে। যারা বিশ্বের বড় বড় আইটি কোম্পানির সাথে কাজ করে থাকে এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারকে কাজে লাগায় এমনকি বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিতে তাদেরকে কাজের সুযোগ করিয়ে দেয়। এই ধরনের আইটি কোম্পানি গুলোর মধ্যে সবথেকে এগিয়ে আছে বিজেআইটি গ্রুপ (BJIT Group)। “বিজেআটি গ্রুপ” বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং মাল্টিন্যাশনাল আইটি কোম্পানি । বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের গ্লোবাল আইটি জগতের সাথে পরিচিত করতে এবং তাদেরকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে নিয়ে এসেছে Global Jobs সার্ভিস। সাইটটিতে (www.globaljobsbd.com) তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্যরিয়ার সম্পর্কে ধারণা দেয়া থেকে শুরু করে সিভি তৈরি, অ্যাপয়েনমেন্টের সুযোগ, ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ ও চাকরি প্রাপ্তির সহযোগিতা করা হয়।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইয়াসুহিরো আকাশী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী দক্ষ জনশক্তির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ কারণে জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের গ্লোবাল জবস বিডি ডটকম এ সুযোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। নতুন প্রকৌশলী তৈরিসহ দেশ এবং দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের কাজ করছে গ্লাবাল জবস বিডি। বাংলাদেশ সহ জাপান, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যাণ্ড, আমেরিকার সিলিকন ভ্যালিতে বিজেআইটির অফিস রয়েছে এবং ২৫০ এর বেশি ইঞ্জিনিয়ার কাজ করে চলেছে প্রায় ৫০০ ক্লায়েন্টের জন্য। বিজেআইটি থেকে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারা কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন বিশ্বের বড় বড় কম্পানিতে, যেমন (NTT DATA, OMRON, Panasonic, TOSHIBA, SONY, SOURCENEXT, Valmet, FUJISOFT, ACCESS, Kyocera, Flextronics International, IBM.. and more)
এই সুবিধা পাওয়ার জন্য GlobalJobsBD.com সাইটে আপনার প্রফেশনাল সিভি তৈরি করুন| এই সার্ভিস পেতে কোন রকম ফি দিতে হয়না।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চাকরির সুযোগ বাড়ছে

IT JOBs

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ৯/১১ – র বিপর্যরে পথ ধরে সারাবিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির বা আইটি খাতে মারাত্মক ধস নেমে এসেছিল৷ যারা এক সময় অন্য যেকোনো বিষয় বাদ দিয়ে কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংসহ তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে পড়ার জন্য রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু করেছিল, তারা ওই বিপর্যয়ের পর এই খাতটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়৷ স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের৷ বিশ্বের দেশে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পড়ার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থী ক্রমাগত কমতে থাকে৷ ফলে এই খাতটিতে কাজ করার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি হওয়াও প্রায় বন্ধের দিকে চলে যায়৷ কিন্তু সময়ের পথ ধরে এখন আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত৷ নিত্যনতুন উদ্ভাবনা আর বাজার সম্প্রসারণের কারণে এখন এই খাতে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বিপুল জনশক্তি৷ আবার তৈরি হয়েছে রমরমা বাজার৷ নতুন স্বপ্ন৷ বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা ২০2০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত পেশাজীবী সঙ্কটে পড়বে৷ সৃষ্টি হবে মারাত্মক বিপর্যয়৷

সম্প্রতি দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়ে গেছে৷ কিন্তু উপযুক্ত কর্মী পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে৷ তারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছে৷ গত ৫-৬ বছরে আইটি খাতে শিক্ষার্থীদের অনীহার কারণেই এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয় বলে গবেষকরা মনে করছেন৷ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফুট পার্টনার্স তার রিপোর্টে বলেছে, চাকরিদাতারা আগে সনদপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মীদের বেতন-ভাতার অতিরিক্ত হিসেবে যে বোনাস বা মূল বেতনের অংশ দিতো, এখন তারচেয়েও বেশি দিয়ে সংগ্রহ করতে হচ্ছে সনদপ্রাপ্ত নয় কিন্তু দক্ষ এমন প্রযুক্তিকর্মী৷ এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশনস, ই-কমার্স এবং প্রসেস ম্যানেজমেন্টের মতো কর্মক্ষেত্রগুলোতে এ অবস্থা চলছে৷ ফুট পার্টনার্স গত ৮ বছর ধরে প্রতি ৩ মাস অন্তর চাকরিদাতাদের ওপর জরিপ পরিচালনা করে আসছে৷

ডেভিড ফুট বলেছেন, আইটি খাতে প্রচুর প্রবৃদ্ধি হওয়ায় গত ২ বছর ধরে দক্ষ কর্মীসঙ্কট লেগেই আছে৷ আর তাই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায় বাণিজ্য ধরে রাখতে সনদপ্রাপ্ত নয় এমন আইটিকর্মীদের বেশি বেতন-ভাতায় নিয়োগ দিতে বাধ্য হচ্ছে৷ বিশ্বের বহু দেশ সনদহীন দক্ষ আইটিকর্মীও প্রয়োজনমতো সংগ্রহ করতে পারছে না৷ এই অবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মনে করছেন৷ তিনি আরো বলেন কটা সময় ছিল যখন চাকরিদাতারা প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা এবং লাভজনক অবস্থা ধরে রাখতে সনদপ্রাপ্ত আইটিকর্মীদের অনেক বেশি বেতন-ভাতা দিয়ে সংগ্রহ করার দিকেই জোর দিতো৷ কিন্তু গত দুই বছর বা তার চেয়েও কিছু বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কোম্পানি নতুন আইটিপণ্য উদ্ভাবন, লাভ ও বিক্রি বাড়ানো, গ্রাহক সেবা এবং সম্পর্ক উন্নয়নের দিকেই বেশি মনোনিবেশ করেছে৷ এরা মনে করছে, এ কাজের জন্য তাদের সনদপ্রাপ্ত কর্মী আবশ্যক নয়৷ প্রয়োজন দক্ষ কর্মী সংগ্রহ৷ প্রতিষ্ঠানগুলোর এই ফোকাস পরিবর্তন আইটি পেশায় একটি মিশ্র অবস্থার সৃষ্টি করেছে৷ ফুট বলেন, আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ডাটা সেন্টার নিয়ে নেই, একই সাথে তার রয়েছে লাইন অব বিজনেস, বিজনেস ইউনিট এবং ব্যবহারকারীদের কাছাকাছি পৌঁছার উইং বা শাখা৷ তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর উপযুক্ত কারিগরি জ্ঞানেরও প্রয়োজন রয়েছে৷ এন্টারপ্রাইজ বিজনেস অ্যাপ্লিকেশনে জ্ঞান রয়েছে এমন কর্মীরা এখন বেতন-ভাতার অতিরিক্ত ৯ দশমিক ১ শতাংশ প্রিমিয়াম পাচ্ছে৷

যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্প্রসারণের কারণে সেখানে আইটি খাতে এক বছর আগের চেয়ে চাকরির সুযোগ বেড়েছে ৬ শতাংশ৷ ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস সূত্রে এ তথ্য দিয়েছে৷ চাকরির সবচেয়ে বেশি সুযোগ রয়েছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কমপিউটার সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড সিস্টেমস এনালিস্ট এবং আইএস ম্যানেজার পদে৷ এছাড়া প্রোগ্রামার এবং সাপোর্ট স্পেশালিস্টদের ও সুযোগ বেড়েছে৷ যেভাবে এই খাতটি এগিয়ে চলেছে তাতে ধারণা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর আইটিকর্মীর প্রয়োজন হবে৷

আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে এখনই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি৷ ছাত্রছাত্রীদের কমপিউটার সায়েন্স পড়তে আগ্রহী করে তুলতে হবে৷ তাদেরকে বুঝতে হবে আন্তর্জাতিক চাকরির বাজার তো বটেই, দেশেও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ঘটায় তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা বেড়ে চলেছে৷ তাই নিজেকে এ খাতে দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে হবে৷

Global Jobs

আইটি বিশ্বে বাংলাদেশকে সুপরিচিত করতে এবং বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের গ্লোবাল আইটি জগতে সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং মাল্টিন্যাশনাল আইটি কোম্পানি “বিজেআটি গ্রুপ ” নিয়ে এসেছে Global Jobs সার্ভিস। বাংলাদেশ সহ জাপান, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যাণ্ড, আমেরিকার সিলিকন ভ্যালিতে বিজেআইটির অফিস রয়েছে এবং ২৫০ এর বেশি ইঞ্জিনিয়ার কাজ করে চলেছে প্রায় ৫০০ ক্লায়েন্টের জন্য। বিজেআইটি থেকে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারা কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন বিশ্বের বড় বড় কম্পানিতে, যেমন (NTT DATA, OMRON, Panasonic, TOSHIBA, SONY, SOURCENEXT, Valmet, FUJISOFT, ACCESS, Kyocera, Flextronics International, IBM.. and more)

এই সুবিধা পাওয়ার জন্য GlobalJobsBD.com সাইটে আপনার প্রফেশনাল সিভি তৈরি করুন| এই সার্ভিস পেতে কোন রকম ফি দিতে হয়না।

সাকুরা – অনিন্দ্য সুন্দর চেরি ফুলের সাগর

“সাকুরা” জাপানিজদের কাছে খুব ই জনপ্রিয় একটি নাম। বছরের একটি বিশেষ সময়ে এই বিশেষ ফুলের দেখা পাওয়া যায় জাপানের বিভিন্ন স্থানে যা স্থানীয়দের কাছে “চেরি ব্লসম” নামেও পরিচিত। সারা বিশ্বেও এই ফুলের অনেক কদর কারন এটা দেখতে এতটাই সুন্দর যে কেউ বিমোহিত না হয়ে পারবে না। এটার জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে অনেক পর্যটক জাপানে আসেন শুধুমাত্র চেরি ব্লসম বা সাকুরা দেখার জন্য। আজকের লেখা এই বিশেষ ফুল এবং একে নিয়ে হওয়া মজার কাহিনি নিয়ে।

সাকুরা কি?
সাকুরা শব্দের উৎপত্তি হয় জাপানিজ বিভিন্ন চেরি গাছের (genus prunus) অনুসারে। বিশেষভাবে prunus serrulata, যাকে “সাকুরা” বলা হয় জাপানিজ ভাষায়। চেরি ব্লসম কে মনে করা হয় হিমালয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

বর্তমানে সাকুরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে, যেমনঃ ইউরোপ, পশ্চিম সাইবেরিয়া, ইন্ডিয়া, চীন, কোরিয়া, জাপান, কানাডা এবং আমেরিকা তে।

সাকুরার ধরন:-
শোভা বর্ধনের কাজে ব্যবহারের জন্য চাষ করা হয়েছে অনেক বৈচিত্র্যের সাকুরা। ভোজ্য চেরি সাধারণত Prunus avium এবং প্রুনাস cerasus এর প্রজাতি থেকে এসেছে। চেরি ফুল ঘনিষ্ঠভাবে বাদাম, পীচ, বরই, খুবানি এবং আপেল, নাসপাতি ও গোলাপ হিসাবে অন্য Prunus গাছ এর সাথেও সম্পর্কিত।

বিভিন্ন প্রকারের চেরি ফুল দেখা যায়, সেগুলোর মধ্যে এইসব প্রজাতি বিশেষ ভাবে পরিচিত:
Prunus apetala var. pilosa, Prunus campanulata, Prunus ×furuseana, Prunus incisa var. incisa, Prunus incisa var. kinkiensis, Prunus introrsa, Prunus kanzakura, Prunus miyoshii, Prunus parvifolia, Prunus pendula, Prunus sacra, Prunus sargentii, Prunus serrulata, Prunus sieboldii, Prunus subhirtella, Prunus syodoi, Prunus tajimensis, Prunus takenakae, Prunus verecunda, Prunus yedoensis.

চেরি ব্লসম এর সময়কাল:
চেরি ফুল ফোটার প্রারম্ভে একে “কায়কা” এবং সম্পূর্ণরূপে প্রস্ফুটিত হবার পরে একে “মানকাই” নামে ডাকা হয়। চেরি ব্লসম এর সময়কাল সাধারণত অল্প সময়ের হয়ে থাকে। “কায়কা” থেকে “মান কাই” এ রুপ নিতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ প্রয়োজন হয়। এর এক সপ্তাহ পরে ব্লুমিং তার সর্বোচ্চ সীমায় পৌছায় এবং ব্লসম গুলো গাছ থেকে ঝরে পড়তে থাকে। ঝরো হাওয়া এবং বৃষ্টি ব্লুমিং সিজন কে আরও ছোট করে ফেলতে পারে।

জাপানে প্রতিবছরের সম্ভাব্য চেরি ব্লসম এর সময়কালঃ

 

City Average Opening Average Full Bloom
Sapporo [সাপ্পোরো] May 5 May 8
Hakodate [হাকোদাতে] May 3 May 7
Hirosaki [হিরোসাকি] April 24 April 30
Sendai [সেনদাই] April 12 April 18
Tokyo [টোকিও] March 28 April 5
Yokohama [ইয়োকোহামা] March 28 April 5
Nagoya [নাগোয়া] March 28 April 5
Matsumoto [মাত্সুমতো] April 12 April 17
Takayama [তাকায়ামা] April 16 April 21
Kanazawa [কানাজাওয়া] April 6 April 11
Kyoto [কিয়োটো] March 31 April 7
Osaka [ওসাকা] March 30 April 6
Nara [নারা] April 1 April 6
Kobe [কবে] March 30 April 6
Hiroshima [হিরোশিমা] March 29 April 5
Takamatsu [তাকামাতসু] March 30 April 6
Matsuyama [মাত্সুয়ামা] March 28 April 5
Fukuoka [ফুকুওকা] March 26 April 3
Kumamoto [কুমামতো] March 24 April 2
Kagoshima [কাগোশিমা] March 26 April 3
Naha [নাহা] January 19 February 4

জাপানের দক্ষিণের গ্রীষ্মমণ্ডলী দ্বীপ “অকিনাওা” তে জানুয়ারী মাসেই দেখা মেলে ব্লসম এর। উত্তরাঞ্চলের দ্বীপ “হক্কাইদো” তে বেশ অনেকটা দেরি করে মে মাসের দিকে ব্লসম হয়। প্রধান শহর গুলো যেমন “টোকিয়ো, কিয়তো এবং ওসাকা” তে সাধারণত এপ্রিল এর দিকে ব্লসম হয়। এদিক থেকে চিন্তা করে বলা যায় বছরের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত সারা জাপান জুড়েই দেখা মিলতে পারে সাকুরা বা চেরি ব্লসম এর। তাই বছরের শুরুর ট্রিপ যদি কোন কারনে মিস হয়ে যায় তাহলে অনায়াসে বছরের অর্ধ পর্যন্ত যে কোন সময়ে ঘুরে আসতে পারেন জাপানের ঐতিহ্যবাহী সাকুরা দেখার জন্য।

জাপানের একক একটি সংস্কৃতি হিসেবে “হানামি” নামক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সাকুরাকে বরণ করে নেয়ার জন্য। সম্পূর্ণ ব্লুম হউয়া সাকুরা গাছের নিচে পিকনিক করা হয়। রাতেও থাকে আরও নানা আয়োজন। অন্ধকার রাতে সাকুরা গাছ গুলোকে আলোকিত করে দেয়া হয়, যা কিনা হয় একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। রাতের “হানামি” কে জাপানিজ এ “ইওজাকুরা” বলা হয়।

সাকুরা উপভোগের বিশেষ ৫ টি স্থান

১। গরিয়কাকু পার্ক [হুক্কাইদো]

চিত্রঃ ১৬০০ এর ও বেশি সাকুরা গাছের নয়নাভিরাম পার্ক।

২। মাকমানাই পার্ক [হক্কাইদো]

৩। হিরোসাকি পার্ক [আওমরি]

৪। সিরইসিগাওয়া সুজুমিহিতমে সেনবন [মিয়াগি]

৫। তাকাতোজসি পার্ক [নাগানো]

পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

Global Jobs BD

সিলিকন ভ্যালি – প্রযুক্তির রাজধানী

Silicon_valley

সিলিকন ভ্যালি (Silicon Valley) যুক্তরাষ্ট্রের সান্ফ্রান্সিস্কো এবং সান্হোসে এই দুই শহরের মাঝামাঝি ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত, যা ৩০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ১৯৯৫ সালের পর থেকে এই সিলিকন ভ্যালির জনপ্রিয়তার সূত্রপাত। সিলিকন ভ্যালি ইন্টারনেট এবং উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবসার সূতিকাগার। গুগল, সিলিকন ভ্যালি (যুক্তরাষ্ট্র) (উইকিপিডিয়া অনুসারে) হল ৩০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত একটি জায়গা যা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া তে অবস্থিত। সান্ফ্রান্সিস্কো এবং সান্হোসে এই দুই শহরের মাঝামাঝি এই সিলিকন ভ্যালি। ১৯৯৫ সালের পর সিলিকন ভ্যালি হয়ে উঠে ইন্টারনেট অর্থনীতি এবং উচ্চ প্রযুক্তি সঙ্ক্রান্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানেই জন্ম লাভ করেছে ইয়াহু!, গুগল, ই- বে এর মত বড় ইন্টারনেট ডট কম কোম্পানি গুলো। ২০০০ সালে এখানে গড়ে ওঠা প্রায় ৪০০০ উচ্চ প্রযুক্তি কোম্পানি গুলো প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছে আর এর সিংহভাগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিনিয়োগের মাধ্যমে।

বিশ্বম্যাপে সিলিকন ভ্যালি সিলিকন ভ্যালি কি জন্য বিখ্যাতঃ প্রযুক্তি বাজারের লিডিং প্রতিষ্ঠানগুলোর হেড-কোয়ার্টার এই সিলিকন ভ্যালিতে অবিস্থিত। প্রযুক্তির এমন কোন লিডিং প্রতিষ্ঠান নেই যারা সিলিকন ভ্যালি কেন্দ্রিক না। গুগল, মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে সেই অ্যামাজান, ই-বের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বসতবাড়ি এই সিলিকন ভ্যালিতে। শুধু বসত বাড়ি, তাদের সকল খাওয়া, দাওয়াও এই সিলিকন ভ্যালিতে। বিখ্যাত সব স্টার্ট-আপের জন্ম এই সিলিকন ভ্যালিতে। অ্যাডবি, ওরাকলের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের স্টার্ট-আপ এই সিলিকন ভ্যালি থেকে। সিলিকন ভ্যালিতে এখন পর্যন্ত যতো টেক স্টার্ট-আপ হয়েছে তার যদি একাংশও না হতো তাহলে শত শত বছর প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে যেতাম। সামাজিকভাবে তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নয়নের জন্য সব থেকে বেশি ভুমিকা রাখে সিলিকন ভ্যালি। সমগ্র বিশ্বে সিলিকন ভ্যালি সৃষ্টি করেছে প্রযুক্তির জন্য আজব ক্ষেত্র। পৃথিবী বিখ্যাত ভেনচরগুলোর দুই তৃতীয়াংশ আসে সিলিকন ভ্যালি থেকে।

গবেষকরা মনে করে সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানগুলো না আসলে বিশ্ব উদ্যোক্তারা অনেক বেশি পিছিয়ে থাকতো। পৃথিবীর বিখ্যাত ডাটা সেন্টারগুলোর আবাস এই সিলিকন ভ্যালিতেই। সিলিকন ভ্যালির প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোঃ প্রযুক্তি জগতের এমন কোন লিডিং প্রতিষ্ঠান পাবেন না যার সূতিকাগার এই সিলিকন ভ্যালি। সিলিকন প্রযুক্তিতে শুধু লিডিং পজিশনেই না, এখানে  জন্ম হয় আপডেট সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।

Google

গুগল (Google) ইনকর্পোরেটেড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক ইন্টারনেট এবং সফটওয়্যার কোম্পানী এবং বিশেষভাবে তাদের গুগল সার্চ ইঞ্জিনের জন্য বিশ্বখ্যাত। সিলিকন ভ্যালি বেজড সবথেকে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান এই গুগল। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন পিএইচডি ছাত্র ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৮ সালে গুগল প্রতিষ্ঠিত হয়। সিলিকন ভ্যালির সব থেকে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এই গুগল।

Yahoo

ইয়াহু (Yahoo!!) একটি বৃহৎ ইন্টারনেট ভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। ইয়াহু’র রয়েছে ওয়েবসাইট, সার্চইঞ্জিন, ইয়াহু ডিকশেনারী, ইয়াহু মেইল, ইয়াহু নিউজ, ইয়াহু গ্রুপ, ইয়াহু এন্সার, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, অনলাইন ম্যাপ, ইয়াহু ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া সেবা ইত্যাদি। সংবাদ সংস্থাগুলো তথ্য অনুসারে ইয়াহুর নিয়মিত ব্যবহারকারী প্রায় ৭০০ মিলিয়ন। ইয়াহু দাবি করে “প্রতি মাসে প্রায় ৫কোটি মানুষ ৩০টি ভাষায় ইয়াহু ব্যবহার করে।

MicroSoft

মাইক্রোসফট (MicroSoft) মাইক্রোসফট কর্পোরেশন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কম্পিউটার প্রযুক্তি কর্পোরেশন। এদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং মাইক্রোসফট অফিস। ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমান বিশ্বের সব থেকে ধনী বিল গেটসের দ্বারা।

amazon

অ্যামাজান (Amazon.com) আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্ৰ ভিত্তিক আমাজন ডট কম হচ্ছে পৃথিৱীর সর্ববৃহৎ বহুজাতিক ই- কমার্স প্ৰতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে এই প্রতিষ্ঠিত হয়। কেনাকাটায় বিশ্বকে এক করার এক প্রধান হাতিয়ার এই অ্যামাজান ডট কম। ই-কমার্স সাইটকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করারও এক প্রধান হাতিয়ার এই অ্যামাজান।

adobe

অ্যাডোবি সিস্টেমস (Adobe Systems) অ্যাডবি সিস্টেমস একটি মার্কিন কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি। সদর-দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোস শহরে অবস্থিত। অ্যাডোবি সিস্টেমস মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরির জন্য পৃথিবীব্যাপী বিখ্যাত। বর্তমানে মাল্টিমিডিয়ার পাশাপাশি অ্যাডোবি ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নও করছে। সিলিকন ভ্যালি ভিত্তিক সর্ব বৃহৎ সফটওয়্যার কোম্পানি।

Ebay

ই-বে (eBay) ইবে অ্যামিরিকার বহুজাতিক ই-কমার্স কোম্পানি। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আজও বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়।

Facebook

ফেসবুক  (Facebook) ফেসবুক বিশ্ব-সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন কয়েক জন বন্ধুদের সাথে প্রচেষ্টায় ফেসবুক তৈরি করেন। বিশ্ব যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এক করার এক প্রধান হাতিয়ার এই ফেসবুক।

NVIDIA

এনভিডিয়া (Nvidia) এনভিডিয়া কর্পোরেশন সান্তা ক্লারা, ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি। এরা প্রধানত গ্রাফিক্স প্রোসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) এবং মোবাইলের জন্যে চিপ তৈরি করে। প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৯৩।

Oracle

ওরাকল কর্পোরেশন (Oracle Corporation) ওরাকল কর্পোরেশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক কম্পিউটার প্রযুক্তি কর্পোরেশন। এর সদর দফতর ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড সিটিতে। কোম্পানিটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সিস্টেম পণ্য তৈরিতে পারদর্শী। ১৯৭৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা পায়। সিলিকন ভ্যালি বেজড স্টার্ট-আপের মধ্যে ওরাকল সব থেকে জনপ্রিয়।

amd

অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (Advanced Micro Devices (AMD)) অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস কম্পিউটার প্রসেসর এবং এর সাথে জড়িত অন্যান্য প্রযুক্তি তৈরি করার একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে।

Apple

অ্যাপ্ল কম্পিউটার (Apple Inc.) অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড একটি বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রে ভিত্তিক ব্যক্তিগত কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। শুরুতে এ প্রতিষ্ঠানের নাম ছিলো অ্যাপল কম্পিউটার ইনকর্পোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি নানা ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য, কম্পিউটার সফটওয়্যার এবংপার্সোনাল কম্পিউটার তৈরী করে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অ্যাপেল নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্সের মাধ্যমে তৈরী করে আইপড, আইফোন এবং আইপড় তৈরী করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি গান শোনার সফটওয়্যার আইটিউনস এবং মাল্টিমিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ সফটওয়্যার আইলাইফ তৈরী করে। এছাড়া ইন্টারনেট ব্রাউজার সাফারি এবং মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস তৈরী করে। প্রযুক্তির প্রতি ক্ষেত্রে অ্যাপেলের আছে দারুণ পদচারনা।

HP

হিউলেট প্যাকার্ড (hp) কোম্পানি হিউলেট-প্যাকার্ড কোম্পানি বা এইচপি একটি আমেরিকান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত কম্পিউটার, কম্পিউটারের বিভিন্ন যণ্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক। এর সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পালো অ্যালটো নামক স্থানে। কোম্পানিটির যাত্রা শুরু হয় একটি গাড়ির গ্যারেজে। বর্তমানে হিউলেট প্যাকার্ড বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটার নির্মাতা। ১৯৩৯ সাল থেকে এইচপি যাত্রা শুরু করে।

Intel

ইন্টেল কর্পোরেশন (Intel) ইন্টেল কর্পোরেশন একটি আমেরিকান চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। ইন্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ইন্টেল কম্পিউটার প্রসেসর তৈরির পাশাপাশি আরো তৈরী করে মাদারবোর্ড চিপসেট, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলার, ইন্ট্রিগ্রেটেড সার্কিট, ফ্ল্যাস মেমোরি, গ্রাফিক্স কার্ড, সংযুক্ত প্রসেসর এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছু যা কম্পিউটার এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে অতীব প্রয়োজনীয়।

Paypal

পেপাল (PayPal ) পেপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। অননলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 1998 সাল থেকে পেপাল যাত্রা শুরু করে। এখন পর্যন্ত সবথেকে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত অনলাইন মানি লেনদেন পদ্ধতি এই পেপাল।

Dell

ডেল (Dell) ডেল ইনকর্পোরেটেড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৪ সালের ৪ নভেম্বর ডেল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেল। তিনি ডেল ডেল ইনকর্পোরেটেড-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। ছোটবেলায় জমানো ১ হাজার ডলার মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন তিনি। চীন ও মালয়েশিয়া সহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ডেল-এর কারখানা রয়েছে।

Sony Officejpg

সনি (Sony) সনি কর্পোরেশন জাপানী ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাতা। ৭ মে ১৯৪৬ সালে সনি যাত্রা করে। বর্তমানে সব ধরণের ইলেক্ট্রনিক্স নির্মাণে সনির আছে দারুণ জনপ্রিয়তা।

photo by Scott Beale / Laughing Squid This photo is licensed under a Creative Commons license. If you use this photo within the terms of the license or make special arrangements to use the photo, please list the photo credit as "Scott Beale / Laughing Squid" and link the credit to http://laughingsquid.com.

টুইটার (Twitter) টুইটার সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মাইক্রোব্লগিংয়ের একটি ওয়েবসাইট, যেখানে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের বার্তা আদান-প্রদান ও প্রকাশ করতে পারেন। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে টুইটারের যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০০৬ এর জুলাই মাসে জ্যাক ডর্সি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। টুইটার সারা বিশ্ব্জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

Youtube

ইউটিউব (YouTube) ইউটিউব একটি ভিডিও আদান-প্রদান করার ওয়েবসাইট। একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট যা এর সদস্যদের ভিডিও আপলোড, দেখা আর আদান-প্রদানের সুবিধা দান করে আসছে। এই সাইটটিতে আরো আছে ভিডিও পর্যালোচনা, অভিমত প্রদান সহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধা। ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ছিলেন মূলত পে- প্যাল প্রতিষ্ঠানের তিন প্রাক্তন চাকুরীজীবি, চ্যড হারলি, স্টিভ চ্যন আর বাংলাদেশী বংশদ্ভুত জাভেদ করিম।

আচ্ছা আপনার কি মনে হয়, প্রযুক্তি এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়া কল্পনা করা সম্ভব? সিলিকন ভ্যালিকে প্রযুক্তি উপত্যকা ছাড়া আপনি কি বলবেন ! সিলিকন ভ্যালির সর্বোচ্চ বেতনের চাকরি গুলাঃ অ্যাপেল, গুগল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ টেক কোম্পানিগুলো অভিজ্ঞ টেঁকিম্যানকে হায়ার করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে। কিন্তু সিলিকন ভ্যালির সর্বোচ্চ বেতনওয়ালা জবগুলো কি বা তার চাহিদা কেমন, জানতে ইচ্ছা করে কিনা! এমনকি সিলিকন ভ্যালিতে নাকি এখনও সহস্র জব খালি আছে। দক্ষ ব্যক্তির অভাবে ভুগছে তারা। সিলিকন ভ্যালি সর্বোচ্চ বেতনের সিলিকন ভ্যালি জবঃ ৫) সিনিয়র রুবি রেইলস ইঞ্জিনিয়ারঃ বেতনঃ $১,২০,০০০ ডলার (প্রতি বছর) ৯৬ লাখ টাকা। রুবি প্রোগ্রামিং এ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির কাজে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদার সাথে সিলিকন ভ্যালিরও ব্যাপক চাহিদা আছে। সিলিকন ভ্যালির এই জবে আছে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, যা আপনি ভাবতেও পারবেন না। ৪) ডাটা সাইন্টিস্টঃ বেতনঃ $১,৫০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ ডলার (প্রতি বছর) বড় বড় কোম্পানি তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখে এবং ভবিষ্যৎের জন্য রেখে দেন। ঠিক এরকমই জবের চাহিদা এমন সিলিকন ভ্যালিতে। ৩) ভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং: বেতনঃ $১,৭৫,০০০ ডলার (প্রতি বছর) ভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ টিমের সকল সদস্যদের উজ্জীবিত করে রাখা। এই ধরণের কাজে অভিজ্ঞতা বেশি প্রয়োজন আর সেটা যদি সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে তো বলাই লাগে না। ২) সিনিয়র আইওএস সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারঃ বেতনঃ $১,৩০,০০০ ডলার থেকে ১,৪০,০০০ ডলার (প্রতি বছর) অ্যাপেলের আইওএস সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের আছে ব্যাপক চাহিদা। সেটা সহজে অনুমেয়।

 ফেসবুক ইন্টার্নঃ বেতনঃ $৭০০০ ডলার (প্রতি মাস) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরানো স্টুডেন্টদের জন্য এরচেয়ে বড় সুযোগ হতে পারে না। ফেসবুকে তাও আবার সিলিকন ভ্যালিতে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করার সুযোগ। বাংলাদেশ কিন্তু প্রযুক্তিতে অনেক বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। দুই বাঙালি ফাহিম মাসউদ আজিজ এবং সাকিব হাসান যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে গড়ে তুলেছেন ব্যাকপ্যাকব্যাঙ (backpackbang) নামের একটি নতুন উদ্যোক্তা কোম্পানি (স্টার্টআপ), যা বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের সুযোগ করে দিচ্ছে অন্যের প্রয়োজনীয় সামগ্রী এক দেশ থেকে অন্য দেশে বৈধভাবে পৌঁছে দেওয়ার। তাঁদের কাজ শুরু করার জন্য ওয়াই কম্বিনেটর ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের মূলধনও দিয়েছে। সিলিকন ভ্যালি প্রধান ফটক সিলিকন ভ্যালির সাফল্যের রহস্য কি? সিলিকন ভ্যালি ৩৬৫ দিন বছর, সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘন্টা কাজ করে, প্রযুক্তির সাথে যাদের বসবাস, প্রযুক্তি যাদের ধ্যান জ্ঞান, নতুন নতুন উদ্ভাবন যাদের চালিকা শক্তি।

bjit1

এই সিলিকন ভ্যালিতে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের আরো এক আইটি কোম্পানি “বিজেআটি গ্রুপ ” । বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং মাল্টিন্যাশনাল আইটি কোম্পানি “বিজেআটি গ্রুপ ” আইটি বিশ্বে বাংলাদেশকে সুপরিচিত করতে এবং বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের গ্লোবাল আইটি জগতে সুযোগ করে দিতে নিয়ে এসেছে Global Jobs সার্ভিস। বাংলাদেশ সহ জাপান, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যাণ্ড, আমেরিকাতে বিজেআইটির অফিস রয়েছে এবং ২৫০ এর বেশি ইঞ্জিনিয়ার কাজ করে চলেছে প্রায় ৫০০ ক্লায়েন্টের জন্য।  বিজেআইটি থেকে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারা কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন বিশ্বের বড় বড় কম্পানিতে, যেমন (NTT DATA, OMRON, Panasonic, TOSHIBA, SONY, SOURCENEXT, Valmet, FUJISOFT, ACCESS, Kyocera, Flextronics International, IBM.. and more)

bjit2

এই সার্ভিস পেতে কোন রকম ফি দিতে হয়না। এর জন্য আপনাকে “গ্লোবাল জবস” এর ওয়েবসাইটে সিভি তৈরি করতে হবে। আগ্রহী বাক্তিগণ এখনি GlobalJobsBD.com এ একটি একাউন্ট করে রাখতে পারেন।

আইটি আউটসোর্সিং ক্রেতাদের প্রতিশ্রুতি, আউটসোর্সিং বাজার এবং চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি

Global Jobs Outschorcing

উটসোর্সিং! অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে এই শব্দটি ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ এটি। দেশে থেকেই তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে বৈশ্বিক কাজের বাজার ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রে পরিচিত একটি নাম বর্তমানে অনলাইন আউটসোর্সিং। তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে কাজের পরিধি এখন নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত। উন্নত বিশ্বের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির মাধ্যমে করানো হয়ে থাকে, তাকেই মূলত আউটসোর্সিং হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার জন্য রয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো পেশাজীবী এবং কাজদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়। অনেক কাজ আছে যেগুলো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে করা যায় না। যদিও করানো যায় তবে তার খরচ অনেক বেশি পড়ে এবং কখনও কখনও সময়ও বেশি লাগে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ওই কাজগুলো বাইরে থেকে করিয়ে নেয়। আর এটাকেই বলে আউটসোর্সিং। যেসব দেশে শ্রম অপেক্ষাকৃত কম, সেসব দেশের পেশাজীবীরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজগুলো করে দেন। অর্থাত্ আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। আমেরিকা-ইউরোপের যেসব কোম্পানি তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করে, তারা তাদের কাজের বড় একটা অংশ অন্য দেশের কর্মীদের দিয়ে করিয়ে থাকে। কারণ অন্য দেশের কর্মীদের কম অর্থ দিয়েই কাজ করানো যায়। তুলনামূলকভাবে পারিশ্রমিকের মূল্য কম থাকার কারণে উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশ এক্ষেত্রে আউটসোর্সিং শিল্পে দ্রুত উন্নতি করে চলেছে।

আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন ঘন্টায় ৭.২৫ ডলার এর পরিবর্তে ১৫ ডলার করার একটি বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বারাক ওবামা প্রশাসনে। শিরোনাম শুনে আপনার হয়তো মনে হতে পারে, আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন ঘন্টায় ১৫ ডলার হলে আমাদের কি? তাতে আমাদের তো আর কিছু বেতন বাড়ছে না! যারা এমনটি ভাবছেন, তাদের জন্যই লিখছি।

বিদেশী কোম্পানী বলুন আর দেশী কোম্পানি বলুন, প্রতিষ্টানের খরচ কমানোর জন্য মালিকদের কাছে দিনে দিনে আউটসোর্সিং হয়ে উঠছে জনপ্রিয়। ফলে ফ্রিল্যান্সারদের কদর বেড়ে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের পরিধি। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সারদের পদচারণা।

কেন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আউটসোর্সিং পছন্দ করছেন?
যখন একজন ক্লয়েন্ট কিংবা মালিক আউটসোর্সিং করেন, তার উদ্দেশ্য থাকে যতটা কম খরচে পারা যায় তার কাজ শেষ করা। আউটসোর্সিং এর আরেকটি উদ্দেশ্য থাকে যতটুকু কাজ করবে ততটুকু কাজের পারিশ্রমিক প্রদান করবে। হতে পারে সেটা সম্পূর্ন কাজের পারিশ্রমিক অথবা ঘন্টা চুক্তিতে। একজন ফ্রিল্যান্সার যত ঘন্টা কাজ করবেন, তার মালিক বা ক্লায়েন্ট তাকে তত ঘন্টার পেমেন্ট দিবেন। আউটসোর্সিং করলে একজন মালিক বা ক্লায়েন্টকে স্থায়ী ভিত্তিতে কাউকে নিয়োগ দিতে হয় না। কারন কাউকে স্থায়ী নিয়োগ দিলে যে সমস্যা সামনে আসতে পারে তা হলো, “কাজ না থাকলেও কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে প্রতিমাসে বেতন দিতে হবে”। কিন্তু আউটসোর্সিং করলে যতটুকু কাজ করবে কিংবা যত ঘন্টা কাজ করবে তার পারিশ্রমিক দিতে হবে। আর এ কারনেই মালিকরা আউটসোর্সিং এর প্রতি আকৃষ্ঠ হচ্ছে।

আমেরিকার প্রসঙ্গ দিয়ে কি হবে?
আমেরিকার নুন্যতম বেতন যখন ঘন্টায় ১৫ ডলার হচ্ছে, সেই হিসেবে ৮ ঘন্টা কাজ করলে একজন আমেরিকান মালিক বা ক্লায়েন্টকে তার প্রষ্ঠিানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দিনে ১২০ ডলার বেতন দিতে হবে। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৯৪০০ টাকা। আর মাস হিসেব করলে ২৮০০০০ টাকার উপরে। সুতরাং স্থায়ীভাবে কাউকে নিয়ে দিলে, কাজ থাকলেও এই টাকা বেতন দিতে হবে, আর না থাকলেও দিতে হবে।
কিন্তু সেই একই কাজের জন্য যদি একজন মালিক আউটসোর্সিং করে, তবে যে ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে কাজ করাবে তাকে তার চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঘন্টার পেমেন্ট পরিশোধ করলেই হবে। তাই আমেরিকান মালিক’রা স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার পরিবর্তে খরচ কমানোর জন্য আউটসোর্সিং এর উপর দিনে দিনে আরও বেশি ঝুকে পড়ছে। ফলে চাহিদা বাড়ছে ফ্রিল্যান্সারদের।

আউটসোর্সিংয়ে সম্ভাবনা

বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিংয়ের বিশাল বাজারের শীর্ষ ভাগ আমাদের পাশের দেশ ভারতের হাতে। আউটসোর্সিং সার্ভিসে ভারতের পাশাপাশি ফিলিপিনস, পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইউক্রেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চীন, রাশিয়া, পানামা, মিসর এবং আরও অনেক দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আউটসোর্সিংয়ের জগতে বাংলাদেশ অনেক দেরিতে প্রবেশ করলেও স্বপ্ন দেখার মতো বিষয় হচ্ছে, আউটসোর্সিংয়ে আমরা ধীরে ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছি। সম্ভাবনাময় দেশের কাতারে চলে এসেছে বাংলাদেশ। তাই আউটসোর্সিংয়ের মতো শিল্প হয়ে উঠছে বেকার সমস্যা সমাধান এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উপায়।

outsourcing in bangladesh

এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

চলতি অর্থবছরে সফটওয়্যার রপ্তানি খাতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য আউটসোর্সিংই হচ্ছে এই সময়ের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য টেকসই কর্মক্ষেত্র। ভারত ও চীন এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলারের আউটসোর্সিং করাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ‘আপওয়ার্ক’ এ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তৃতীয়। জনপ্রিয় প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটেই কাজ করছেন বাংলাদেশি তরুণরা। প্রতি মাসে শত শত তরুণ আউটসোর্সিং কাজে যুক্ত হচ্ছে। দু’তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ নিজ দক্ষতা অনুযায়ী লেগে থাকছে আউটসোর্সিং কাজে। ঘরে বসেই আয় করছে ১৫ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া আউটসোর্সিং করতে করতে অনেকে চলে যাচ্ছেন দেশের বাইরে। আনেক কোম্পানি কর্মির দক্ষতা দেখে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তির মাধ্যমে তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে আছেন যাদের দক্ষতা আছে এবং বাইরে যেতে চান কিন্তু তেমন সুযোগ হয়ে উঠছেনা বা ভালো কোন কোম্পানির অফার পাচ্ছেন না তাদের জন্য সুসংবাদ। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং মাল্টিন্যাশনাল আইটি কোম্পানি “বিজেআটি গ্রুপ ” আইটি বিশ্বে বাংলাদেশকে সুপরিচিত করতে এবং বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের গ্লোবাল আইটি জগতে সুযোগ করে দিতে নিয়ে এসেছে Global Jobs সার্ভিস। বাংলাদেশ সহ জাপান, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যাণ্ড, আমেরিকাতে বিজেআইটির অফিস রয়েছে এবং ২৫০ এর বেশি ইঞ্জিনিয়ার কাজ করে চলেছে প্রায় ৫০০ ক্লায়েন্টের জন্য।  বিজেআইটি থেকে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারা কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন বিশ্বের বড় বড় কম্পানিতে, যেমন (NTT DATA, OMRON, Panasonic, TOSHIBA, SONY, SOURCENEXT, Valmet, FUJISOFT, ACCESS, Kyocera, Flextronics International, IBM.. and more)

এই সার্ভিস পেতে কোন রকম ফি দিতে হয়না। এর জন্য আপনাকে “গ্লোবাল জবস” এর ওয়েবসাইটে সিভি তৈরি করতে হবে। আগ্রহী বাক্তিগণ এখনি GlobalJobsBD.com এ একটি একাউন্ট করে রাখতে পারেন।

ভবিষ্যতে মেশিন মানুষের সহাবস্থান হবে কিভাবে ?

human-vs-robot-1

র্তমান সময়ে, আলোচনা, কাজ, এবং অর্থনীতির প্রকৃতির উপর বুদ্ধিমান সিস্টেমের প্রভাব প্রসারণশীল। এটা স্বচালিত গাড়ি, স্বয়ংক্রিয় পণ্যাগার, বুদ্ধিমান উপদেষ্টা সিস্টেম অথবা ডিপ লার্নিং দ্বারা সমর্থিত ইন্টারেক্টিভ সিস্টেমে আমাদের কাজ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সফল ভাবে করছে এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্ব চালানোর উপযোগি।

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এখন অত্যন্ত উন্নত। এখন অধিকাংশ রোবট প্রতিটি কাজের সাথে সাথে নিজেই বুঝে নিতে পারে কি করতে হবে, তাদের থাকবে নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তি, তারা তৈরি করতে পারবে নিজেদের মতো নতুন নতুন । রোবট মানুষের ভার গ্রহণ করা জন্য খুব পুনরাবৃত্তিমূলক বা বিপজ্জনক যে কাজগুলো জন্য আদর্শ, এবং মানুষের শ্রমিকদের চেয়ে কম খরচে দিনে 24 ঘন্টা কাজ করতে পারেন. প্রকৃতপক্ষে, নতুন প্রজন্মের রোবোটিক্স মেশিন মানুষের সাথে সহযোগিতা বদলে তাদের প্রতিস্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে. নকশা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মানুষের সম্পৃক্ততা এবং ভুল এমনকি বিবেচনা অগ্রগতি অপরিহার্য থাকবে.

অটোমেশন আগের প্রজন্মের অর্থনীতি জুড়ে বেনিফিট সঙ্গে উচ্চ উত্পাদনশীলতা এবং বৃদ্ধি হতে সেদিকেই ঝুঁকেছে যদিও রোবট, কাজ থেকে মানুষের কর্মীদের সরিয়ে দিতে পারে যে ঝুঁকি রয়ে যায়. দশক বয়সী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলমান নেটওয়ার্ক রোবট ভয় ওয়েব মধ্যে লিঙ্ক পরবর্তী প্রজন্মের রোবোটিক্স সঙ্গে আরো লক্ষণীয় হতে পারে – কিন্তু মানুষ হিসেবে সম্ভাবনা বেশি পরিচিতকরণ ফ্যান তাদের বদলে ভয় কমাতে হবে পরিবারের chores করতে গার্হস্থ্য রোবট চাকরী. এবং সামাজিক রোবট মধ্যে নতুন গবেষণা – সহযোগিতা এবং মানুষের সঙ্গে কাজ নেতৃস্থানীয় নির্মাতারা শিল্প কিভাবে জানেন যে – রোবট এবং মানুষের একসঙ্গে কাজ যেখানে ভবিষ্যতে, প্রতিটি ভাল আছে কি যে মানে – একটি শক্তিশালী সম্ভাবনা হয়. যাইহোক, তবে রোবোটিক্স পরবর্তী প্রজন্মের দর্শনের থেকে মেশিন মানুষের সম্পর্ক সম্পর্কে নৃবিজ্ঞান ক্ষেত্র জন্য উপন্যাস প্রশ্ন ভঙ্গি.

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বাভাবিক হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার বিপরীতে, বোঝা এবং তার পরিবর্তন পরিবেশ সাড়া একটি মেশিন সক্ষম. জরুরী এআই তথ্য বৃহত পরিমানের আত্মস্থ দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিখতে যে মেশিন থেকে উদ্ভূত অগ্রগতির সঙ্গে, আরও একটি ধাপ এই লাগে. একটি উদাহরণ Nell, কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়, না শুধুমাত্র ওয়েব পেজ কয়েক শ ‘মিলিয়ন মাধ্যমে হামাগুড়ি দিয়া দ্বারা তথ্য সার্চ যে একটি কম্পিউটার সিস্টেম থেকে শেষহীন ভাষা শিক্ষা প্রকল্প, কিন্তু করার জন্য প্রক্রিয়ায় তার পড়া এবং বুঝতে কর্মদক্ষতা উন্নত করার প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে আরও ভাল সঞ্চালন.

এবং আরও ভাল সঞ্চালন – – মানুষের চেয়ে নির্দিষ্ট কাজগুলো এ পরবর্তী প্রজন্মের রোবোটিক্স লেগেছে, এআই মেশিন নিতে উল্লেখযোগ্য উত্পাদনশীলতা অগ্রগতি হতে হবে উন্নত. মেশিন দৃষ্টিতে মানুষের ত্রুটি, ঘনত্ব মধ্যে lapses এবং অপূর্ণতা এড়াতে কে-গাড়ি অন্যান্য সমস্যার মধ্যে, সড়ক পরিবহন থেকে, দুর্ঘটনায়, এবং তার ফলে মৃত্যু আহত কমাতে হবে যে যথেষ্ট প্রমাণ আছে. বুদ্ধিমান মেশিন, তথ্য একটি অনেক বড় দোকান থেকে গন্তব্যে চটপট পৌঁছে যাবার হচ্ছে, এবং রোগ নির্ণয়ের চিকিৎসাবিদ্যা পেশাদারদের থেকেও ভাল ফল দিতে পারে, মানুষের মানসিক গোঁড়ামির ছাড়া সাড়া সক্ষম. ওয়াটসন সিস্টেম এখন নির্ণয় ও ক্যান্সার রোগীদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত, প্রমাণ ভিত্তিক চিকিত্সা অপশন সহায়তা করার জন্য ওনকোলজি মধ্যে স্থাপন করা হচ্ছে.

এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক পয়েন্ট আছে, ভবিষ্যতে কিভাবে মেশিন মানুষের পাশাপাশি সহাবস্থান করবে তা এই ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। http://www.computerworld.com/article/2997539/emerging-technology/top-3-arguments-of-how-machines-and-humans-will-coexist-in-the-future.html

যারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা প্রোগ্রামার তাদের জন্য সুখবর। এসব রোবটের ক্ষেএে ব্যাবহার করা হচ্ছে উন্নত হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার। যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রকৌশলীরা একত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। Bangladesh Japan IT Group (BJIT) এর Global Jobs সার্ভিস এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা বিশ্বের বড় বড় আইটি কোম্পানি গুলোতে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন । এই ধরনের সুযোগ আপনিও পেতে পারেন। সুধু  GlobalJobsBD.com সাইটে আপনার সিভি নিবন্ধন করুন।

তথ্যপ্রযুক্তিতে জাপানে বাড়ছে বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ

Increasing job opportunities in Japan for > Bangladeshi Information and technology students

বাংলাদেশের কাছে জাপান সূর্যোদয়ের দেশ বলেই পরিচিত।কত রঙিন গল্পের আর বিভীষিকাময় ইতিহাসের দেশ এই জাপান৷ মার্কিনীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এক নজিরবিহীন পৈশাচিকতার দৃষ্টান্ত রেখেছিল হিরোশিমার বুকে আণবিক বোমা ফেলে৷ সেই দেশ আজ সূর্যোদয়ের আরো এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির সফল প্রয়োগে৷ জাপান আজ বিশ্বব্যাপী হয়ে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম তথা তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের প্রত্যাশিত গন্তব্য৷ জাপানের বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের চাহিদা, তথ্যপ্রযুক্তি সম্ভারের বাজার এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের এই লোভনীয় বাজারে প্রবেশের জন্য আছে দারুন সুযোগ।

বিশ্ব জাপানকে তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ বলেই চেনে। বিশ্ব অর্থনীতিতে জাপানের অবস্থান তৃতীয়। কিন্তু গত এক দশক ধরে ক্রমাগত হারে জনসংখ্যার নিম্নগতি জাপানের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জাপানের অর্থনীতিকে দীর্ঘ মেয়াদে ধরে রাখার মতো জনসংখ্যা জাপানের নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাপান সরকার উদ্যোগ নিয়েছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে সম্ভাবনাময় দক্ষ জনশক্তিকে জাপানে চাকরি ও শিক্ষা অর্জনের সুযোগ দিয়ে কাজে লাগানোর। দেশগুলোর তালিকার মধ্যে রয়েছে—ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইনের নাম। এইসব দেশের দক্ষ জনশক্তিকে প্রতিযোগিতামূলক বেতন দিয়ে জাপানের কোম্পানিগুলো চাকরি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জাপানে। জাপানের গ্লোবাল ৩০ ভিশন অনুযায়ী জাপান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নেবে।

এ ক্ষেএে দেশের আইটি কোম্পানি গুলো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দিয়ে থাকে যেমন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং মাল্টিন্যাশনাল আইটি কোম্পানি “বিজেআটি গ্রুপ ” আইটি বিশ্বে বাংলাদেশকে সুপরিচিত করতে এবং বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের গ্লোবাল আইটি জগতে সুযোগ করে দিতে নিয়ে এসেছে Global Jobs সার্ভিস।

সাইটটিতে (www.globaljobsbd.com) তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্যরিয়ার সম্পর্কে ধারণা দেয়া থেকে শুরু করে সিভি তৈরি, অ্যাপয়েনমেন্টের সুযোগ, ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ ও চাকরি প্রাপ্তির সহযোগিতা করা হয়।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইয়াসুহিরো আকাশী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী দক্ষ জনশক্তির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ কারণে জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের গ্লোবাল জবস বিডি ডটকম এ সুযোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। নতুন প্রকৌশলী তৈরিসহ দেশ এবং দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের কাজ করছে গ্লাবাল জবস বিডি।

একই অভিমত ব্যক্ত করেন বিজেআইটি’র বোর্ড অব ডিরেক্টর মেহেদি মাসুদ। তিনি জানান, গত ৮ জুলাই গ্লোবাল জবস বিডি ডটকমের পথ চলা শুরু হয়। দেশের আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের কর্মীদের দেশ এবং দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ আয়োজন। বিশ্বব্যাপী আইটি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সুযোগের সৃষ্টি নিয়ে কাজ করছি। এরইমধ্যে জাপানে ২০০ এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। শিগগিরই আরো বড় পরিসরে কাজ করবো।

 

প্রশ্ন হতে পারে জাপান যাবেন কীভাবে বা কে সহায়তা করবে চাকরি বা পড়ালেখার বিষয়ে।

আপনাকে একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আপনাকে গড়ে তুলতে BJIT একাডেমী যাবতীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিদেশী ভাষায় দক্ষতা অর্জন ও বিদেশী কর্ম পরিবেশে নিজেকে মানানসই করার কৌশল সহ নানাবিধও সহযোগিতা পেতেপারেন BJIT একাডেমী থেকে। আপনি শুধুমাত্র একটা চাকরি নিয়ে উন্নত কান্ট্রিতে গেলেন আর একটা ভাল চাকরি করলেন এটা BJIT Group এর উদ্দেশ্য নয়। আপনাকে একজন দক্ষ কর্পোরেট বাক্তিত্ত হিসাবে দেখতে চাই, আগামী দিনের একজন দক্ষ লিডার হিসাবে দেখতে চাই এবং আগামী দিনের বাংলাদেশের বিনির্মাণে আপনার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা যেন আমাদেরকে আর একধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করে এটাই BJIT Group এর মুল উদ্দেশ্য।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাকরি

বর্তমান যুগটাই কম্পিউটারের যুগ।

বর্তমান যুগটাই কম্পিউটারের যুগ। এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরির জন্য তেমন একটা ঘুরতে হয় না। তবে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতার কারণে অনেক সময় চাকরিই তাঁকে খুঁজে বের করে।

কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনেক রাস্তা খোলা। এ বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা মূলত দুই ভাবে কাজ করেন। প্রথমত প্রোগ্রামার আর নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এ দুই ধরনের কাজেই শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাহিদা। এ ছাড়া আঁকায় দক্ষতা থাকলে গ্রাফিকস বা ওয়েব ডিজাইনারও হতে পারেন।


বাংলাদেশের কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাহিদা দেশের বাইরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়া শিক্ষার্থীদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর কর্মসূচির মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাচ্ছে। সরাসরি গুগল, ফেসবুক বা আন্তর্জাতিক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতে পারার সুযোগ সম্ভবত এই বিভাগ থেকে খুব সহজে পাওয়া যায়।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশি অনেক ছাত্র এসব বহির্বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের আসন পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতিবছর বহু শিক্ষার্থী দেশের বাইরে যান। চাকরীর ক্ষেত্রে তাঁরাও বেশ ভালো করছেন। সারা বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কোম্পানি নানা ধরনের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা করে থাকে। এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার পাশাপাশি বহির্বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজের পরিচয় ঘটানোর সুযোগ তো থাকছেই। সফটওয়্যার নির্মাণ প্রতিযোগিতাও হচ্ছে হরহামেশা, বিশেষ করে মোবাইল সফটওয়্যার তৈরি। কোন কোন প্রতিষ্ঠান তো সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দিয়ে থাকে যেমন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং মাল্টিন্যাশনাল আইটি কোম্পানি “বিজেআটি গ্রুপ ” আইটি বিশ্বে বাংলাদেশকে সুপরিচিত করতে এবং বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের গ্লোবাল আইটি জগতে সুযোগ করে দিতে নিয়ে এসেছে Global Jobs সার্ভিস। বাংলাদেশ সহ জাপান, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যাণ্ড, আমেরিকাতে বিজেআইটির অফিস রয়েছে এবং ২৫০ এর বেশি ইঞ্জিনিয়ার কাজ করে চলেছে প্রায় ৫০০ ক্লায়েন্টের জন্য।  বিজেআইটি থেকে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারা কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন বিশ্বের বড় বড় কম্পানিতে, যেমন (NTT DATA, OMRON, Panasonic, TOSHIBA, SONY, SOURCENEXT, Valmet, FUJISOFT, ACCESS, Kyocera, Flextronics International, IBM.. and more)

akashi san

এ ছাড়াও একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আপনাকে গড়ে তুলতে BJIT একাডেমী যাবতীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিদেশী ভাষায় দক্ষতা অর্জন ও বিদেশী কর্ম পরিবেশে নিজেকে মানানসই করার কৌশল সহ নানাবিধও সহযোগিতা পেতেপারেন BJIT একাডেমী থেকে। আপনি শুধুমাত্র একটা চাকরি নিয়ে উন্নত কান্ট্রিতে গেলেন আর একটা ভাল চাকরি করলেন এটা BJIT Group এর উদ্দেশ্য নয়। আপনাকে একজন দক্ষ কর্পোরেট বাক্তিত্ত হিসাবে দেখতে চাই, আগামী দিনের একজন দক্ষ লিডার হিসাবে দেখতে চাই এবং আগামী দিনের বাংলাদেশের বিনির্মাণে আপনার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা যেন আমাদেরকে আর একধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করে এটাই BJIT Group এর মুল উদ্দেশ্য।

【IT Technology in japan_2】 প্রযুক্তি বিশ্বে এগিয়ে আছে জাপান।

প্রযুক্তি বিশ্বে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে আছে জাপান। রোবোট প্রযুক্তিতে তারা সবচেয়ে বেশী অগ্রগামী। সাম্প্রতিক সময়ে জাপানের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছে আরো উন্নর মানের রোবোট যা দিয়ে হোটেল পরিচালনা করা হবে।

এই বছরের জুলাই মাসের ১৭ তারিখে জাপানের নাগাসাকিতে চালু হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম রোবট চালিত হোটেল। জাপানি ভাষায় হোটেলটির নাম ‘হেন-না-হোটেল’ যার অর্থ আশ্চর্য বা পরিবর্তিত। হোটেলের অর্ধেক কাজে রোবোটকে নিয়োজিত করা হবে। ৭২টি কক্ষ বিশিষ্ট এই হোটেলে থাকবে ১০ টি রোবোট এবং ১০ জন মানুষ। মানুষের বাবস্থা করা হয়েছে যেন হোটেল কতৃপক্ষ রোবটের সাথে কাস্টমারদের প্রতিক্রিয়া বুঝতে সক্ষম হয়।

Global Jobs

অ্যাক্টরয়েডস নামের এই রোবট মানুষের মত দেখতে। এই অ্যাক্টরয়েডসগুলো শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়, অঙ্গভঙ্গি করতে পারে, স্বাভাবিক শরীর নাড়াচাড়া করতে পারে এমনকি চোখের ভাষা বুঝতে এবং বলতেও সক্ষম। রোবোটগুলোকে জাপানী তরুণীদের আদলে তৈরি করা হয়েছে। রোবটগুলোকে জাপানী, কোরিয়ান এবং ইংরেজিসহ বেশ কিছু ভাষা শেখান হয়েছে। ফলে কাস্টমারদের ভাষা শুনে তাদের ভাষায় উত্তর দিতে সক্ষম এরা। এদের কথা বলার ভঙ্গি প্রায় মানুষের মতই তাছাড়া গলার স্বরের আওয়াজ কমিয়ে বাড়িয়ে এরা অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারে। সাথে সাথে তারা হ্যান্ডশেক করতেও সক্ষম এমং তাদের হাতের স্পর্শ মানুষের মতই।

এখানে রুম বুকিং দেয়া হয় বিডিং সিস্টেমে। আর আপনি যদি থাকতে চান এই হোটেলে তাহলে আপনাকে গুনতে হবে ৬০ডলার, ৭ হাজার ইয়েন বা ৫হাজার টাকার কাছাকাছি থেকে।  আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন http://www.theverge.com/2015/2/8/8000665/robot-hotel-japan-huis-ten-bosch

 

এসব রোবটের ক্ষেএে ব্যাবহার করা হচ্ছে উন্নত হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার। যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রকৌশলীরা একত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেএে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও। Bangladesh Japan IT Group (BJIT) এর Global Jobs সার্ভিস এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা বিশ্বের বড় বড় আইটি কোম্পানি গুলোতে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন । এই ধরনের সুযোগ আপনিও পেতে পারেন। সুধু GlobalJobsBD.com সাইটে আপনার সিভি নিবন্ধন করুন।

সিঙ্গাপুরের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও মানুষ 【Culture In Singapore _1】

ptg04093505

সিঙ্গাপুর হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দেশটি মালয় উপদ্বীপের নিকটে অবস্থিত। এর আনুষ্ঠানিক নাম প্রজাতন্ত্রী সিঙ্গাপুর। “সিঙ্গাপুর” নামটি আসে মালয় ভাষার Singapura সিঙ্গাপুরা থেকে। সিঙ্গাপুরা শব্দটি আসে সংস্কৃত ভাষা सिंहपुर সিঁহাপুরা থেকে, যার বাংলা অনুবাদ সিংহপুর।

সিঙ্গাপুরের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় সঙ্ঘটিত হয়। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান। দেশটিতে মূলত একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব বেশি। দেশের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার ও আইনসভার দায়িত্বে পড়ে। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ থেকে স্বাধীন। আইনসভার সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান হলেও তার ভূমিকা মূলত আলংকারিক। তবে ইদানিং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার পরিসর কিছু বাড়ানো হয়েছে।

3

সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র ও ব্যাপকভাবে নগরায়িত দ্বীপরাষ্ট্র। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্তে, মালয়েশিয়া ওইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত। সিঙ্গাপুরের স্থলভূমির মোট আয়তন ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার। এর তটরেখার দৈর্ঘ্য ১৯৩ কিলোমিটার। এটি মালয়েশিয়া থেকে জোহর প্রণালী এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন।

১৯৬৫ সালে অর্থাৎ স্বাধীনতা লাভের বছরে এই দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫১১ মার্কিন ডলার । এই ৫১১ ইউ.এস. ডলার ছিল তখন পূর্ব এশিয়ার মধ্যে তৃতীয় সবোচ্চ । স্বাধীনতার পরে ইউরোপ থেকে বিনিয়োগ আসার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হওয়া শুরু করে । আশির দশকের মাঝখান দিকে এই দেশটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করে ।

ptg04089400

সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ মিলিয়ন। সিঙ্গাপুরের সংস্কৃতি পশ্চিমা ঘরানার হলেও এখানে গোঁড়া হিন্দুবাদ, গোঁড়া খ্রিষ্টানবাদ , গোঁড়া ইসলামবাদ (মালয় সংস্কৃতি) এবং গোঁড়া বৌদ্ধবাদ (চাইনিজ সংস্কৃতি) আছে । মালয় ভাষা, চীনা ভাষার বিভিন্ন উপভাষা, ইংরেজি ভাষা, বাংলা ভাষা এবং তামিল ভাষা যৌথভাবে সিঙ্গাপুরের সরকারী ভাষা। এছাড়াও এখানে আরও প্রায় ২০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে জাপানি ভাষা, কোরীয় ভাষা, মালয়ালম ভাষা, পাঞ্জাবি ভাষা এবং থাই ভাষা উল্লেখযোগ্য। ইংরেজি ভাষা সার্বজনীন ভাষা বা লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ভূমিকা পালন করে। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডেও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। সিঙ্গাপুরের ধর্মালম্বী বৌদ্ধ ৪২.৫%, ইসলাম ১৪.৯%, নিরীশ্বরবাদী ১৪.৮%, খ্রিস্টান ১৪.৬%, তাও ধর্ম ৮.৫%, হিন্দু ৪%, অন্যান্য ০.৬%

ptg03429346

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন http://www.singaporeexpats.com/about-singapore/culture-and-language.htm